প্রকাশিত: ০৭/০১/২০১৭ ৭:২৮ এএম

জাহাঙ্গীর আলম, ইনানী::

উখিয়া উপজেলার উপকূলীয় জালিয়াপালং ইউনিয়নের প্রায় ৩৫০০০ হাজার মানুষের স্বাস্থ্য সেবার জন্য বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অধিনে তৈরী করা হচ্ছে ইনানী বীচ পয়েন্টে ইনানী উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র। ইনানী উপ স্বাস্থ্য কেন্দ্র পূর্ববর্তী সময়ে থেকে চালু হয়ে আসলেও সম্প্রতি সময়ে তা ৩ তলা ভবন নিমার্ণের কাজ উদ্বোধন করা হলে, বর্তমানে নির্মাণ কাজ অতি দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে।

সরজমিন পরিদর্শনে দেখা যায়, বাংলাদেশের অতি সুপরিচিত বীচ, ইনানী সী-বীচ পয়েন্টে স্থাপিত ইনানী উপ স্বাস্থ্য কেন্দ্র প্রথম দিকে ছোট আকারে সেবা কেন্দ্র খোলে জনসাধারণের সেবা দিয়ে গেলেও সাম্প্রতিক সময়ে পাশ্ববর্তী ৫০ শতক জমির উপর বিশাল আকারের স্বাস্থ্য কেন্দ্র নির্মাণের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে জানা গেছে, এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রে শুধু জালিয়াপালং ইউনিয়নবাসী নয়, বীচে ঘুরতে আসা দেশি-বিদেশী পর্যটকরা সহ বিভিন্ন জনসাধারণ নিয়মিত সেবা নিচ্ছে। সেবা কেন্দ্রে ৩ তলা বিশিষ্ট ভবন নির্মাণ কাজ ২০১৩ থেকে শুরু হলেও মর্ধবর্তী সময়ে কিছুদিন কাজের স্থবিরতা দেখা দেয়। পরবর্তী সময়ে ২০১৬ সালের শুরু দিক থেকে দ্রুত গতিতে কাজ চালিয়ে গেলেও উক্ত কাজ দেখাশুনা করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উর্ধ্বতন কেউ নেই। কাজে নিয়োজিত মিস্ত্রীগণ দিনের পর দিন কাজ চালিয়ে গেলেও মাস কারবারী হিসাব করার জন্য ঢাকা থেকে এ.সি গাড়ি নিয়ে দেখতে আসে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার বাবুল। ঠিকাদার বাবুলের অনুপস্থিতি মিস্ত্রীগণ নি¤œমানের বালি, কংকর ও ইট দিয়ে চালিয়ে যাচ্ছে সরকারী উপ স্বাস্থ্য কেন্দ্র নির্মাণের কাজ। উপ স্বাস্থ্য কেন্দ্র নিমার্ণের কাজের বিভিন্ন অনিয় নিয়ে স্থানীয় সচেতন মহল অভিযোগ করলেও তার কোন প্রতিফলন দেখা যায়নি। সচেতন মহলের অভিযোগ, উক্ত ঠিকাদার বাবুল স্থানীয় জনপ্রতিনিধি সহ সচেতন মহলের অভিযোগ তোয়াক্কা না করে যেনতেন ভাবে নিজের ইচ্ছামত কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।

এদিকে নিয়মিত রোগীর সেবায় নিয়োজিত দপ্তরের বিভিন্ন অনিয়ম নিয়ে রীতিমত অভিযোগ করে যাচ্ছে স্থানীয়রা। সেবা কেন্দ্রে দৈনিক একজন ডাক্তার নিয়োজিত থাকলেও সপ্তাহে ২ বার করে একজন এমবিবিএস ডাক্তার আসার কথা থাকার পরও কোন সপ্তাহে এক বারও দেখা পায় না রোগীরা ঐ এমবিবিএস ডাক্তারের। রোগীরা অভিযোগ করে বলেন, আমরা দূর দুরান্ত থেকে অনেক কষ্ট নিজের প্রাণ বাচাঁনোর জন্য সেবা কেন্দ্র আসলেও তার তুলনায় কোন সেবা পাচ্ছি না। কারণ এখানে রোগীর তুলনায় ডাক্তার নগন্য। সকালের সূর্য দেখা দেওয়ার আগ থেকেই সেবা কেন্দ্রে রোগীরা লাইন ধরে ভিড় জমিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে। আমরা দুর দুরান্ত এসেও কোন সেবা না পেয়ে কক্সবাজার সদর হাসপতাল কিংবা বাড়িতে ফিরে যেতে হয়। দৈনিক ৩/৪শ জন রোগীদের সেবার জন্য ডাক্তার নিয়োজিত আছে মাত্র ১ জন।

অত্র এলাকার গরীব ও পাহাড়ী জনবসতিদের সেবার জন্য আরও ডাক্তার নিয়োজিত করতে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের উর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছে জোর দাবী জানান রোগী ও স্থানীয়রা। এই বিষয়ে হাসপাতালে দায়িত্বরত ডাক্তার কাজলের মুঠোফোন বন্ধ থাকায় যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

এই ব্যাপারে টিকাদার বাবুলের কাছ থেকে চাওয়া হলে, তিনি আমি ঢাকায় আছি বলে তার ফোন কেটে দেয়।

পাঠকের মতামত

সোনার দামে আবারও রেকর্ড, ভ‌রি‌ ১ লাখ ১৯ হাজার ৬৩৮ টাকা

আবারও সোনার দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে জুয়েলারি ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। প্রতি ভরিতে ...